আহসানুল কবিরঃ খসরু- মন্টু জুটির কামরুল আলম খান খসরু রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন আগেই।একটু আগে চলে গেলেন একাত্তরের বীর সেনানী মোস্তফা মহসীন মন্টু (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। স্বাধীনতার পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলী গকে প্রতিষ্ঠা করতে খসরু- মন্টু জুটির প্রভাব অপরিসীম। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মোস্তফা মহসীন মন্টু এক সাহসী যোদ্ধার নাম।১৫ আগষ্ট প্রত্যুষে সবাই যখন পলায়নরত এই মন্টু চাচা একা শেখ ফজলুল হক মণির দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেছেন।গাজী গোলাম মোস্তফা যুগের অবসানের পর হানিফ – মন্টুর হাত ধরেই ঢাকা মহানগরে আওয়ামীলীগ ঘুরে দাড়িয়েছে।এলিফ্যান্ট রোড ছিল তার দূর্গ।এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এলে এলিফ্যান্ট রোডের নারীরা পর্যন্ত প্রতিরোধ তৈরী করেছিল।ছাত্রলীগ থেকে তৈরী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের একটা বড় অংশ তার কাছেই রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরিশাল,গোপালগঞ্জের আধিপত্যের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের থার্ড ওয়ার্ল্ড গ্রুপের ছেলেদের আশ্রয়ের জায়গা ছিলেন তিনি।শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনিও আওয়ামী লীগ টা করতে পারেননি। মন্টু -আওরঙ্গ দের সাথে আওয়ামী লীগ বেঈমানি করেছে।গণফোরাম করতে যেয়ে ডক্টর কামাল হোসেনের সাথে তিনি একাধিক বার আমাদের বাসায় এসেছিলেন।আমার বাবার সাথে ছিলো উনার মধুর সম্পর্ক। ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি প্রয়াত মিজানুর রহমান আজাদ তার স্নেহভাজন ছিলেন। উনার সাথে কথা বলে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অপরিসীম শ্রদ্ধা। বুকভরা অভিমান নিয়েই আজকে চলে গেলেন তিনি।রাব্বুল আল-আমীন আপনি দেশ মাতৃকার এই বীর সেনানী কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।
Ahsanul Kabir, কুমিল্লা
ইতিহাসবিদ ও গবেষক
ফেইস বুক থেকে।